Skip to main content
 

আমাদের কথা

হবিগঞ্জ জেলার ইতিহাসঃ

হবিগঞ্জ বাংলাদেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের সিলেট বিভাগের একটি জেলা।  ঐতিহাসিক সুলতানী হাবেলীর প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ সুলতানের পরবর্তী সৈয়দ হেদায়েত উল্লার পুত্র সৈয়দ হাবিব উল্লার নামানুসারে হাবিবগঞ্জ থেকে হবিগঞ্জ জেলার নামকরণ করা হয়। খোয়াই, করাঙ্গী, সুতাং, বিজনা, রত্না প্রভৃতি নদী বিধৌত হবিগঞ্জের উত্তরে সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলা, পূর্বে মৌলভীবাজার জেলা, দক্ষিণে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য ও পশ্চিমে কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা অবস্থিত। হবিগঞ্জের মোট উপজেলা ৯টি এবং জেলার শিক্ষার হার ৪০.৫০%। ১৮৬৭ সালে হবিগঞ্জকে মহকুমা ঘোষণা করা হয়। ১৮৯৩ সালে হবিগঞ্জকে থানা ঘোষণা করা হয়।  সর্বশেষ ১৯৮৪ সালে হবিগঞ্জকে জেলায় উন্নীত করা হয়।

 

হবিগঞ্জ আদালতের ইতিহাসঃ

১৮৬৭ সাল থেকে হবিগঞ্জ মহকুমা সদর দপ্তর ছিল লস্করপুরে এবং সেখানেই হবিগঞ্জের প্রথম মুন্সেফ আদালতের কার্যক্রম সূচনা করা হয়। পরবর্তীতে ১৯১৯ সালে শহরের গোবিন্দ পার্কে আদালত ভবন স্থানান্তরিত করা হয়।  ব্রিটিশ শাসনামলে হবিগঞ্জে ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ মুন্সেফ আদালত অর্থাৎ মোট ৪টি মুন্সেফ আদালত প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৮১ সালে হবিগঞ্জে প্রথম সাব জজ আদালত সৃজিত হয় এবং উক্ত আদালতে প্রথম সাব জজ ছিলেন জনাব মন্তাজ উদ্দিন। ১৯৮৪ সালে জেলা জেজ আদালত ভবন(পুরাতন) তৈরী করা হয়। পরবর্তীতে, ১৯৯২ সালে বর্তমান হবিগঞ্জ জেলা জজ আদালত ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয় এবং  উক্ত ভবন উদ্বোধন করা হয় ২০০১ সালে।

 

জেলা ও দায়রা জজ আদালত হবিগঞ্জঃ

১৯৮৪ সালে হবিগঞ্জ জেলায় উন্নীত হওয়ার পর হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ পদ সৃজিত হয় এবং হবিগঞ্জ জেলার প্রথম জেলা ও দায়রা জজ ছিলেন জনাব এস.এম. আব্দুর রহমান। বর্তমানে হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ২টি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত, ২টি যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালত, ২টি সিনিয়র সহকারী জজ আদালতসহ ৬টি সহকারী জজ আদালত রয়েছে।

 

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালঃ

বর্তমানে হবিগঞ্জ জেলায় ৩টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল রয়েছে। ২০০১ সালে ১ম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল স্থাপিত হয় এবং ৩০/০৪/২০১৮ইং তারিখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ স্থাপিত হয় ।

 

চীফ ‍জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতঃ

১লা নভেম্বর ২০০৭খ্রিঃ তারিখে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের মাধ্যমে হবিগঞ্জ চীফ ‍জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গঠিত হয়। জনাব মোঃ ফজলুল হক ছিলেন হবিগঞ্জ জেলার প্রথম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। বর্তমানে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১টি অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, একটি চৌকি আদালতসহ ৪টি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও ৫টি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রয়েছে। ২০১৭ সালে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন উদ্ভোধনের মাধ্যমে আদালতের সার্বিক কার্যক্রম নিজস্ব ভবনে পরিচালনা করা হচ্ছে।

 

ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালঃ

হবিগঞ্জ জেলায় একটি ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল রয়েছে যা ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। রিভিশনাল জরিপের মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত খতিয়ানসমূহের বিরোধ ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল নিষ্পত্তি করে আসছে।

 

জেলা লিগ্যাল এইড অফিসঃ

২০১৩ সালে হবিগঞ্জে জেলা লিগ্যাল এইড অফিস-এর কার্যক্রম শুরু হয় এবং ২০১৮ সাল থেকে নিয়মিত জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার কর্তৃক জেলা লিগ্যাল এইড কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

 

আজমিরীগঞ্জ চৌকি আদালতঃ

১৯৮৩ সালে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় মুন্সেফ আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চৌকি আদালত স্থাপন করা হয়। ১৯৯২ সালে আজমিরীগঞ্জ চৌকি আদালতের অবসান ঘটিয়ে হবিগঞ্জ সদরে স্থানান্তরিত করা হয়। ২০০৭ সালে পুনরায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে আজমিরীগঞ্জ চৌকি আদালতে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনে আজমিরীগঞ্জ চৌকি আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

 

হবিগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতিঃ

          হবিগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি গঠন করা হয় আনুমানিক ১৮৭৮ সালে। ১৯২৯ সালে হবিগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্র প্রনয়ণ করা হয়েছিল। বাংলাদেশের ২য় প্রধান বিচারপতি জনাব সৈয়দ এবি মাহমুদ হোসেন হবিগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ছিলেন। বর্তমানে হবিগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সংখ্যা ৬৩৫ জন।

 

 

 

সংকলনেঃ

ঝুমু সরকার, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট

রাহেলা পারভীন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট

কাজী মো. আবু জাহের বাদল, সহকারী জজ

বেগম তামান্না ইয়াসমিন, সহকারী জজ

 

 

সর্বশেষ হালনাগাদ ১৪/১১/২০২২খ্রিঃ